আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া/ মহল্লা, গ্রাম-শহর অঞ্চলে খুন, আত্মহত্যাসহ নানাভাবে প্রতিনিয়তই অপমৃত্যু ঘটছে বহু নারী ও মেয়ে শিশুর। নিয়ম অনুযায়ী তাদের মরদেহ পোস্টমর্টেমও করা হচ্ছে। কিন্তু লাশ কাটা ঘরে নারীদেহ কাটা-ছেঁড়ার স্পর্শকাতর এই কাজটা করে যাচ্ছেন পুরুষ ডাক্তার ও পুরুষ মর্গের সহকারীরা। ডাক্তার বা মর্গ সহকারী হিসেবে মহিলাদের এ দায়িত্বে আসতে দেখা যাচ্ছে না। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে শুধু পুরুষ ডাক্তার ও পুরুষ মর্গ সহকারীরাই দিনের পর দিন নারী ও মেয়ে শিশুদের মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করে যাচ্ছেন।
ভূক্তভোগী অনেক পরিবারেরই আক্ষেপ, পারিবারিক সহিংসতা বা দূর্ঘটনায় মৃত্যু ছাড়াও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেক নারী ও মেয়ে শিশু। মৃত্যুর পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের টেবিলে। যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সবটুকুই সম্পন্ন করেন পুরুষ ডাক্তার ও পুরুষ মর্গ সহকারীরা। সব ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রেই এটি অনৈতিক ও সম্মানহানিকর। ভয়ানক মর্মপীড়ায় আক্রান্ত এসব পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত মহিলা ডাক্তার ও মর্গ সহকারী নিয়োগ দেয়ার দাবি তোলা হলেও নানা কারণে তার বাস্তবায়ন ঘটছে না।
অভিযোগ রয়েছে, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গ সহকারীরা মদ্যপ অবস্থায় নারী ও মেয়ে শিশুদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা-ছেঁড়া কাজটি করে থাকে।